নড়াইল বৃহত্তর যশোর জেলার অংশ। ভাগীরথী এবং মধুমতীর মধ্যবর্তী অঞ্চল হওয়ায় নদীয়া শান্তিপুর অঞ্চলের ভাষার সাথে এই জেলার ভাষার কিছুটা মিল আছে। খুলনা এবং ফরিদপুর জেলার ভাষার সাথে এই জেলার ভাষার বেশ মিল রয়েছে। ভৌগলিক কারণে প্রতি ১৫/২০ কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে ভাষা ব্যবহার ও উচ্চারণে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। নড়াইল জেলার আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে বর্ণ বিপর্যয় দেখা যায় এবং ব্যঞ্জন বর্ণের ক্ষেত্রে ক ও খ এর সহলে হ এর ব্যবহার এবং ট এর সহলে ড এর এর ব্যবহার এবং একই পদ কিংবা শব্দে বার বার ন বর্ণের ব্যবহার প এর সহলে ফ এবং ত এর সহলে ব এর ব্যবহার লক্ষনীয় । | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুলসহ আঞ্চলিক ভাষার কতিপয় শব্দ
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আরো দেখা যায় নাবো নানে, খাবো নানে, করবানে, যাবানি, দিবানি, দেহিশক্যানে, এ্যানেণ, পারবিনানে ইত্যাদি একই শব্দে ন বর্ণের বহু ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণ স্বরুপঃ
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
যদি বাক্য তৈরী করা হয় সেক্ষেত্রে ‘‘ তুমি কোথায় গিয়েছিলে ’’ সহানীয় ভাষায় হবে ‘‘ তুমি কুহানে গিছিলে’’। একই ভাবে ‘‘ তোমাকে কতদিন দেখিনি ’’ এই বাক্যটি সহানীয় ভাষায় হবে ‘‘তোমারে কদ্দিন দেহিনি’’। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের মাঝে ব্যক্তি, গোত্র, সমাজ ও জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে। সেজন্যই সাংস্কৃতি হলো জাতির দর্পন। ছোট জেলা নড়াইল সাংস্কৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ। প্রাচীন কাল হতে খেলাধুলা, সংগীত, সাহিত্য, চিত্রকলা ইত্যাদি বিষয়গুলিকে তাই খ্যাতিনাম ব্যতীত এ জেলায় দেখা যায়- যাদের অবদান জাতীয় পর্যায়ের সীমারেখাভেদ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে ।
|