Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

খতিয়ান বা পর্চা সংক্রান্ত

খতিয়ান বা পর্চা সংক্রান্ত

   আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে, এখন থেকে খতিয়ান বা পর্চা( সিএস/এসএ/আরএস) এর সার্টিফায়েড কপি অনলাইনে আবেদন করার ০৩ কর্মদিবসের মধ্যে এ কার্যালয়ের 'ই-সেবা কেন্দ্র' থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এছাড়াও আপনি চাইলে ডাকযোগে আপনার পছন্দমত ঠিকানায় খতিয়ান পেতে পারবেন।

আপনার যদি সার্টিফাইড কপি দরকার না হয়, শুধু অনলাইন কপি দরকার হয় তবে তা আবেদনের  সাথে সাথেই অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।


সংশ্লিষ্ট শাখা: ই-সেবা কেন্দ্র, নীচতলা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নড়াইল



ই-সেবা কেন্দ্রের প্রবেশমুখ


 কারা আবেদন করতে পারবেন


জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্ত সকল ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন। যেকোন স্থান থেকে আবেদন করা যাবে। একজন ব্যক্তি দিনে সর্বোচ্চ ০৭ (সাত) টি আবেদন করতে পারবেন।


         খতিয়ানের অনলাইন আবেদনের পূর্বে যেসকল বিষয় জানা প্রয়োজন


  • এ কার্যালয় থেকে শুধু সার্ভে খতিয়ান সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নড়াইল জেলায় তিন ধরনের সার্ভে খতিয়ান পাওয়া যায়। যথা সিএস খতিয়ান, এসএ খতিয়ান ও আরএস খতিয়ান।


  • এ কার্যালয় হতে কোন ধরনের নামজারি খতিয়ান সরবরাহ করা হয়না(ভবিষ্যতে হতে পারে, কাজ চলছে)। নামজারি খতিয়ানের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।


  • অনেক সিএস ও আরএস খতিয়ান বই কালের পরিক্রমায় নষ্ট বা ঝরে গিয়েছে বিধায় এসকল খতিয়ান সরবরাহ করা যায়না।


  • নড়াইলের ৪৪৬টি আরএস মৌজার মধ্যে এখনো ৫৩ টির মত মৌজার আরএস খতিয়ান বই গেজেট হয়ে আসেনি(তালিকা নিম্নে দেয়া হলো)। তাই, এসকল মৌজার খতিয়ানের জন্য আবেদন করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে খতিয়ান বই এসেছে কীনা। তবে, পর্যায়ক্রমে সকল মৌজার আর এস বই চলে আসবে।


  • আবেদন করার জন্য মৌজার নাম ও খতিয়ান নম্বর প্রয়োজন হবে। আপনি যদি এসকল তথ্য না জানেন তবে সংশ্লিষ্ট  ইউনিয়নের ভূমি অফিস থেকে এসকল তথ্য সংগ্রহ করে নিন।


  • আপনি চাইলে নিজেই স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থেকে খতিয়ানের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে নিজে আবেদন করতে না পারলে নিকটস্থ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা কম্পিউটারের দোকান থেকে সহায়তা নিতে পারেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আশেপাশে কিছু দোকান থেকেও আবেদন করা যায়। এরপরও কোন বিশেষ মৌজা বা খতিয়ানের আবেদন করতে কোনরূপ সমস্যা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ‘ই-সেবা কেন্দ্র’ বা রেকর্ড রুমে যোগাযোগ করুন।


যেসকল মৌজার আরএস বই এ কার্যালয়ে এখনও আসেনি তার তালিকাঃ  আর.এস বই আসেনি মৌজা (৩ অক্টোবর-২০২৩ পর্যন্ত).pdf        


সিএস ও এসএ ঝরা খতিয়ানের তালিকাঃ  তৈরীর কাজ চলছে।


আবেদন প্রক্রিয়া


    আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুনঃ www.eporcha.gov.bd


আবেদন করতে যা যা লাগবে

  • মৌজার নাম
  • খতিয়ান নম্বর
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর
  • জন্ম তারিখ
  • মোবাইল নম্বর


আবেদন ফি


  • সরাসরি অফিস কাউন্টার বা 'ই-সেবা কেন্দ্র' থেকে নিতে চাইলেঃ প্রতি খতিয়ান ১০০ টাকা ( ২-৩ টাকা বেশী কাটতে পারে)
  • ডাকযোগে দেশের মধ্যে যেকোন ঠিকানায় নিতে চাইলেঃ প্রতি খতিয়ান ১৪০ টাকা ( ২-৩ টাকা বেশী কাটতে পারে)
  • শুধু অনলাইন কপি: প্রতি খতিয়ান ১০০ টাকা ( ২-৩ টাকা বেশী কাটতে পারে)
  • টাকা পরিশোধের মাধ্যম: বিকাশ/নগদ/রকেট/উপায়/একপে বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক


আবেদনের ধাপ


  • প্রথমেই ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত স্মার্টফোন বা কম্পিউটার থেকে www.eporcha.gov.bd/ ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘সার্ভে খতিয়ান’ এ ক্লিক করুন। ( সতর্ক থাকতে হবে যেন 'নামজারি খতিয়ান' এ ক্লিক না পড়ে)



সার্ভে খতিয়ান আবেদনের স্ক্রিনশট


এ সংক্রান্ত নির্দেশিকার জন্য এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও ইউটিউবে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবেন।


  • এরপর বিভাগ-জেলা-উপজেলা-খতিয়ানের ধরন-মৌজা সিলেক্ট করে খতিয়ান নম্বর দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করুন।


  • প্রয়োজনীয় তথ্য ও আবেদন ফি পরিশোধ করে আবেদনপত্রটি ২ কপি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।


  • আবেদনের সময় ‘অফিস কাউন্টার’ দিয়ে আবেদন করে থাকলে ৩ কর্মদিবস পরে ডিসি অফিসের নীচতলায় অবস্থিত ‘ই-সেবা কেন্দ্র’ হতে আবেদনপত্রটি জমা দিয়ে আপনার খতিয়ান/পর্চা সংগ্রহ করুন। 


  • আবেদনের সময় ‘ডাকযোগে’ দিয়ে আবেদন করে থাকলে খতিয়ান/পর্চা ডাকের মাধ্যমে আপনার ঠিকানায় পৌছে যাবে।


অনলাইনে আপনার কাংখিত খতিয়ান খুজে না পেলে কী করবেন


  • যদি  আবেদন করতে গেলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারেন বা সার্ভার ত্রুটি দেখায় তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করুন। অনেক সময় ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য সার্ভার সাময়িক সময়ের জন্য ডাউন থাকে। এসমস্যা কয়েকদিন পর্যন্ত থাকলে এ কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে অফিস চলাকালীন সময়ে অবহিত করুন।


  • ই-পর্চা সিস্টেম থেকে আবেদন করতে গেলে যদি আপনার মৌজার নামটিই খুজে না পান তবে রেকর্ডরুমে অফিস চলাকালীন সময়ে অবহিত করুন।


  • সিএস ও এসএ খতিয়ানের ক্ষেত্রে যদি মৌজার অন্য খতিয়ান থাকলেও আপনি যে খতিয়ান চাচ্ছেন সেটি খুজে না পান তবে এমন হতে পারে যে খতিয়ানটি ঝরে গেছে বা এই নম্বরের খতিয়ানটি নেই।


  • যদি আরএস কোন খতিয়ান না পান তবে সেক্ষেত্রে হতে পারে (১) আপনি যে মৌজার খতিয়ান খুজছেন সে মৌজার আরএস প্রকাশিত হয়ে রেকর্ডরুমে আসেনি। এক্ষেত্রে যে ৫৩ টি মৌজার বই এখনো আসেনি সে তালিকা চেক করে দেখুন। এক্ষেত্রে আবেদন না করে খতিয়ান বই আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । (২) আর যদি খতিয়ান বই আসা সত্ত্বেও খতিয়ান না পান তবে খতিয়ান নম্বর দিয়ে আবেদন করুন।


আবেদন করা হয়ে গেছে , এখন কী করবেন


  • আবেদন করা হয়ে গেলে অবশ্যই আবেদন কপিটি ডাউনলোড করে ২ কপি প্রিন্ট করে রাখুন। এখানে একটি নমুনা আবেদন কপি দেয়া হলো  online application.পদফ


  • যদি ডাকযোগে পাবার জন্য আবেদন করে থাকেন তবে, ৬-৭ কর্মদিবসের মধ্যে আবেদনের সময় দেয়া ঠিকানায় খতিয়ান পৌছে যাবে। ৬-৭ কর্মদিবসের মধ্যে না পেলে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। তাতেও কাজ না হলে অফিস চলাকালীন সময়ে রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে অবহিত করুন অথবা মেইল করুন recordroomnarail@gmail.com এই ঠিকানায়।


  • যদি 'অফিস কাউন্টার থেকে পাবার জন্য আবেদন করে থাকেন তবে আবেদনের ৩ কার্যদিবস পর অনলাইনের সেই আবেদন কপি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নীচতলায় অবস্থিত 'ই-সেবা কেন্দ্রে' সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এইসময়ে গিয়ে আপনার খতিয়ানটি সংগ্রহ করুন।


মনে রাখবেন, রেকর্ডরুম থেকে কোন প্রকার খতিয়ান সরবরাহ করা হয়না। খতিয়ানের জন্য অবশ্যই 'ই-সেবা কেন্দ্রে' যোগাযোগ করতে হবে। 


যদি মাঝখানে কোন সরকারি ছুটি না থাকে তবে,  নিম্নোক্তভাবে খতিয়ান সরবরাহ পাওয়া যাবে*

  • রবিবারে আবেদন করে থাকলে বুধবার এ 
  • সোমবারে আবেদন করলে বৃহস্পতিবারে
  • মঙ্গলবারে আবেদন করলে  রবিবারে
  • বুধবারে আবেদন করলে সোমবারে
  • বৃহস্পতি/শুক্র/শনিবারে আবেদন করলে মঙ্গলবারে


*বি দ্র মাঝে সরকারি ছুটি থাকলে সে অনুযায়ী সরবরাহের দিন পিছিয়ে যাবে।

**এছাড়াও অনিবার্য কারণবশত সরবরাহ সর্বোচ্চ ১-২ দিন পেছাতে পারে। 


এরপরও যদি আপনার খতিয়ানটি না পান তবে কষ্টকরে ২য় তলায় উঠে হাতের ডানদিকে অবস্থিত রেকর্ডরুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করুন।


রেকর্ডরুম সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।


খতিয়ান নেয়ার সময় অবশ্যই খতিয়ানটি আপনার আবেদনের খতিয়ান নম্বর, মৌজার নাম ইত্যাদির সাথে মিলিয়ে দেখুন।


যদি ভুল খতিয়ান পেয়ে থাকেন কিংবা খতিয়ানের কোন তথ্য ভুল বলে মনে হয়


   খতিয়ানে কোন ভুল থাকলে যে জায়গায় ভুল সে জায়গাটি পেন্সিল দিয়ে চিহ্নিত করে অনলাইনের সেই আবেদনপত্রসহ (এজন্যই আবেদন কপি ২ কপি প্রিন্ট করার জন্য বলেছিলাম) যেখান থেকে খতিয়ান নিয়েছেন( ই-সেবা কেন্দ্র) সেখানেই কারেকশনের জন্য জমা দিয়ে একটি স্লিপ বুঝে নিন। স্লিপে উল্লিখিত তারিখে পুনরায় স্লিপসহ ই-সেবা কেন্দ্র থেকে খতিয়ানের কারেকশন কপি সংগ্রহ করুন। 


 বিশেষ অনুরোধ...


সম্মানীত নড়াইলবাসী, আপনাদেরকে দ্রতুতম সময়ে ও ন্যূনতম খরচে হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে জেলা প্রশাসন, নড়াইল বদ্ধপরিকর।


এরপরও এই পুরো প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কেউ কোনরূপ বাড়তি টাকা দাবী করে তবে প্রমাণকসহ তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিন। 


এছাড়াও, অনলাইন আবেদন করার সার্ভিস চার্জ বাবদ যদি কোন ব্যক্তি বা দোকানদার অযৌক্তিক পরিমাণ টাকা দাবী করে সেক্ষেত্রেও প্রমাণপত্রসহ অভিযোগ দিন। 


আপনার এ অভিযোগটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।


আর একটি অনুরোধ,  সেবাটি সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা বা কোন ধরনের পরামর্শ থাকলে ই-সেবা কেন্দ্রে রক্ষিত মন্তব্য বইতে লিখুন।


আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

(অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত)